ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ০৬/০৩/২০২৫ ৪:৪৯ এএম , আপডেট: ০৬/০৩/২০২৫ ৪:৫০ এএম

টেকনাফে অপহরণকারী তকমা ও হুমকি দিয়ে পুলিশ কর্তৃক বিকাশ ব্যবসায়ীর টাকা ও দোকানের মালিক – কর্মচারীকে আটকের অভিযোগ উঠেছে।
বিকাশ ব্যবসায়ীদের হয়রানি বন্ধ ও ব্যবসায় সুষ্ঠু পরিবেশ চেয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করেছেন রবি আলম নামের এক ব্যবসায়ী৷ সেই আবেদনে লেদা-মোচনী এলাকার ৯ জন বিকাশ ব্যবসায়ী স্বাক্ষর করেছেন। তারা সবাই এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং আটককৃতদের দ্রুত মুক্তির দাবী জানিয়েছেন।
আবেদনকারী রবি আলম টেকনাফের নাইক্ষ্যংখালী দক্ষিণ হ্নীলা এলাকার বাসিন্দা মো: ইসলাম মিয়ার ছেলে।
অভিযোগে তিনি যা উল্লেখ করেছেন, রবি আলম ও তার আটককৃত তার আপন ভাই খোরশেদ আলম বিকাশের বৈধ নিবন্ধিত ব্যবসায়ী হই। তাদের পরিবারে বড় ভাই খোরশেদ আলমও বিকাশের নিবন্ধিত ব্যবসায়ী। তাদের পরিবারের সদস্যরা বৈধ ব্যবসার মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে।
রবি আলম বলেন, আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লেদা টাওয়ার স্টেশনসহ রবিউল ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড মোবাইল পয়েন্টে বিকাশ এজেন্ট এর পাশাপাশি ব্যবসার সুবিধার্থে ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বার ও দোকানের ভিজিটিং কার্ডে অন্তর্ভূক্ত আছে। সেই সুবাধে গ্রাহকরা যেকোন সময় আমাদের ব্যক্তিগত এবং এজেন্ট নাম্বারে টাকা লেনদেন করে লাস্ট নাম্বার উল্লেখ পূর্বক টাকা বহন করে থাকেন। গত ২ মার্চ হ্নীলা মৌলভীপাড়ার লেদা এলাকার বাসিন্দা আমির আলী প্রকাশ সুলু’র ছেলে রবি আলম (২০) তার ব্যবহৃত নাম্বার ০১৮৬০-৬১৭১৯০ থেকে আমার বড় ভাই খোরশেদ আলমকে কল করে বলে, বিকাশে টাকা আনা যাবে কিনা। তখন আমার ভাই খোরশেদ আলম টাকা আনা যাবে মর্মে নিশ্চিত করলে রাত ৮ টার দিকে আমাদের বিকাশ কার্ডে ব্যবহৃত ব্যক্তিগত নাম্বার ০১৫৮০-৮২৬৬২৭ নাম্বারে এক লক্ষ টাকা প্রেরণ করেন। তখন রবি আলম টাকা আসছে কিনা নিশ্চিত হয়ে সকালে গ্রহণ করবে বলে ফোন কেটে দেয়। সেই প্রেরিত টাকা এখনো বিকাশে রক্ষিত আছে। যা উত্তোলন করা হয়নি। পরবর্তীতে একইদিন ভোর রাত ৩ টা ৩০ মিনিটের দিকে হঠাৎ পুলিশ এসে আমার ভাই খোরশেদ আলম ও কর্মচারী মোঃ ফয়সাল ভগ্নিপতি মোঃ ইউনুসকে টেকনাফ মডেল থানার এসআই মাসুম ফরহাদ এর নেতৃত্বে অভিযানের নামে আটক করে ৪টি মোবাইল ফোন এবং কালো ব্যাগে রক্ষিত দোকানে বিকাশ ব্যবসার আট লক্ষ টাকা ও দোকানের চাবিসহ অন্যায়ভাবে নিয়ে যায়। এরপর পুলিশ ফরওয়ার্ডিয়ে উল্লেখ না করে আসামীদের কোর্টে সোপর্দ করা হয়েছে। এখন পুলিশ আমাদের কাছ থেকে নিয়ে যাওয়া সেই আট লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার পায়তারা করছেন। আমি এবং আমরা নিরীহ ব্যবসায়ীরা অপহরণের মতো জঘন্য কাজে কখনো জড়িত নই। এই ধরনের জঘন্য কাজে আমরা জড়িত হতে পারি না। যদি এরূপ প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে যথাযথ শাস্তি পেতে বাধ্য থাকবো। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, পুলিশ কর্তৃক নিয়ে যাওয়া টাকা ফেরত ও নিরীহ ব্যবসায়ী এবং কর্মচারীদের দ্রুত মুক্তি চাই। এমতাবস্থায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক বিকাশ ব্যবসায়ীদের হয়রানি বন্ধের বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা একান্ত আবশ্যক।
অভিযান পরিচালনাকারী টেকনাফ থানার এসআই মাসুম ফরহাদ জানান, অপহরণকারী একটি চক্রের আবেদনের তথ্যের ভিত্তিকে অভিযান পরিচালনা করে বিকাশে লেনদেনের কারনে তাদেরকে আটক করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। জব্দকৃত ৮ লক্ষ টাকা আদালত থেকে তারা আইনানুগভাবে পেয়ে যাবেন।
মামলার বিষয়ে অধিকতর তদন্তে জড়িত প্রমানিত না হলে চার্জসিট থেকে বাদ দেওয়া হবে। ভুক্তভোগিরা এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করেছেন।

পাঠকের মতামত